বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিয়ের একমাস সাত(৩৭)দিনের মধ্যে লাশ হতে হলো সাথী বিশ্বাসকে।নববধূ হাতের মেহেদীর রং মুছতে না মুছতে স্বামী ও পরোকিয়া প্রেমিকার হাতে জীবন দিতে হলো সাথীকে।এমৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে গুনঞ্জন চলছে এলাকাবাসীদের মাঝে।লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় যানরা দেখেছেন তাদের দাবী মেরে ঝুলানো হয়েছে।

এ রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন তথ্য।

সাথী মৃত্যুর কিছুক্ষন আগে ঘরে কাজ করছিলো।সেদিন সকাল থেকে কয়েক বার রানাপাড়ার প্রেমিকা(মৌসাতো ভাইয়ের স্ত্রী) কনিকা মন্ডল প্রেমিক সুশেন মন্ডলের বাড়ী যায়।কিছুপরে ডাকাডাকি করে সাথীর কোন সাড়াশব্দ না তার বাড়িতে যেয়ে দরজা ধাক্কা দিলে সাথীকে ঝুলন্ত আবস্থায় দেখতে পাই এমন কথা বললেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাশের মহিলারা।

বৃদ্ধ  হরিদাশ মন্ডল বলেন লোকজনের চিৎকারে যেয়ে দেখি বারান্দার রুয়ার সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া এবং হাটু ভাজ করে মাটির সাথে ঠেস দেওয়া।কোন ভাবেই এটা আত্মহত্যা নয়।মেয়েটা ভালো ছিলো তাকে হত্যা করেছে।এ হত্যার সঠিক বিচার চাই যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে  সাথীর মা ও বোন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।মোবাইলে মেয়ের ছবি দ্যাখে এবং বলে আমার মেয়েকে কাপড়ে চারটি গিট দেওয়া আবস্থায় ঝুলানো ছিলো।এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না।জামাই ও কনিকা মিলে মেরেছে।আমার মেয়ে সংসার করতে পারলো না।

উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু অশোক কুমার বড়াল বলেন সুশেন ও কনিকার ব্যাপারে অনেকবার শালিশী করেছি।তারপরে সুশেন সুধরায়নি।

সাথীর ভাই গুরুতরো অভিযোগে বলেন আমি সুশেনের নামে থানায় অভিযোগ করেছি বলে আমার বোনের লাশ বাড়িতে আনার পর সুশেনের কোন আত্মীয স্বজন এবং গ্রামের লোকজন সৎকার করতে সাহায্য করেনি।আমি, বাবা,মা,বোন ও আত্মীয় স্বজনরা সুশেনের বাড়িতে সৎকার করি।এ ঘটনা নজীরবিহীন।আমি আমার বোনকে যারা হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তাদের বিচার চাই।উল্লেখ্য সাথীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার সদর ইউনিয়নের চিরুলিয়া সাহসপুরে।

চিতলমারী থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর শরিফুল হক বলেন লাশ সুরহাতাল হয়েছে।ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।